বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ নজরুল সেনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার বর্তমান সংস্করণ, যা KanikBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:১০, ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (ইংরেজি উইকিপিডিয়া ও উইকিউপাত্তের তথ্যের ভিত্তিতে বট কর্তৃক বিষয়শ্রেণী যোগ)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক।

(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বাংলাদেশ নজরুল সেনা একটি বেসরকারি গণ উন্নয়নমূলক সংগঠন। সংগঠনটি মূলত বাংলাদেশের শিশু, কিশোর ও তরুণদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিখ্যাত বাঙালি কবি ও লেখক কাজী নজরুল ইসলামের নামে সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। নজরুলের দর্শন সংগঠনটির উদ্দেশ্য পূরণে অনুপ্রেরণা প্রদান করে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ নজরুল সেনা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালে এর কর্মসূচী কমিয়ে আনা হয়, তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এর কর্মকাণ্ডের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী ইসলামের দর্শন এই সংগঠনটিকে অনুপ্রাণিত করে। এই সংগঠনটি শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং শিশু ও তরুণদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, ধর্ম, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে।

কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

ট্রাস্টিদের এবং বোর্ড সদস্যদের নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত বাংলাদেশ নজরুল সেনার প্রায় ৩৫ টি শাখা রয়েছে। এটি পাবলিক স্কুল, কিণ্ডারগার্টেন স্কুল ও এতিমখানাগুলোর কিশোর ও তরুণদের সহায়তা ও সাহায্য প্রদান করে থাকে। এছাড়াও সংগঠনটি অনেক সেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

নজরুল সেনা স্কুল[সম্পাদনা]

সংগঠনটি নজরুল সেনা স্কুল নামে ময়মনসিংহ জেলায় একটি সুপরিচিত কিণ্ডারগার্টেন স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটিকে বাংলাদেশ নজরুল সেনা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে থাকে। জি. ই. এম ফারুক নামে সংগঠনটির একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব্য স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান অধ্যক্ষ্য। নজরুল সেনা স্কুলে ২০০ এর ও বেশি ছাত্র, ১৮ জন নিয়মিত শিক্ষক এবং ৫জন কর্মী রয়েছে। এই স্কুলটির ছাত্ররা লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন: গান, নাচ, অঙ্কন, খেলাধুলা, বিতর্ক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে। এই স্কুলটি ময়মনসিংহ জেলায় প্রথমবারের মত মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান শুরু করে। প্রতি বছর স্কুলটি পিকনিক, শিক্ষা সফর, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করে থাকে। প্রতিবছর ছাত্ররা একটি মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে এবং সেখানে তারা তাদের কম্পিউটার দক্ষতার নানা দিক তুলে ধরে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]