ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাতা তৈরি |
অ উদ্ধৃতি টেমপ্লেটে সংশোধন |
||
| ৩৪ নং লাইন: | ৩৪ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''ফ্রান্সিস আলবার্ট সিনাত্রা''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Francis Albert Sinatra; [[১২ ডিসেম্বর|১২ই ডিসেম্বর]] [[১৯১৫]] - [[১৪ মে|১৪ই মে]] [[১৯৯৮]]) ছিলেন একজন মার্কিন গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তিনি সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত সঙ্গীতশিল্পীদের একজন, বিশ্বব্যাপী তার ১৫০ মিলিয়নের অধিক রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| |
'''ফ্রান্সিস আলবার্ট সিনাত্রা''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Francis Albert Sinatra; [[১২ ডিসেম্বর|১২ই ডিসেম্বর]] [[১৯১৫]] - [[১৪ মে|১৪ই মে]] [[১৯৯৮]]) ছিলেন একজন মার্কিন গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তিনি সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত সঙ্গীতশিল্পীদের একজন, বিশ্বব্যাপী তার ১৫০ মিলিয়নের অধিক রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://lasvegassun.com/vegasdeluxe/2015/jun/08/steve-wynn-celebrate-100th-birthday-late-frank-sin/|শিরোনাম=Steve Wynn to celebrate 100th birthday of the late Frank Sinatra in Las Vegas|ভাষা=ইংরেজি|শেষাংশ=লিচ|প্রথমাংশ=রবিন|তারিখ=৮ জুন ২০১৫|কর্ম=লাস ভেগাস সান|সংগ্রহের-তারিখ=১৪ মে ২০১৮}}</ref> [[নিউ জার্সি]]র হোবোকনে জন্ম নেওয়া ইতালীয় বংশোদ্ভূত সিনাত্রা সুইং যুগে [[হ্যারি জেমস]] ও [[টমি ডার্সি]]র সাথে তার সঙ্গীত কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে [[কলাম্বিয়া রেকর্ডস|কলাম্বিয়া রেকর্ডসের]] সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তিনি একক শিল্পী হিসেবে সফলতা লাভ করেন এবং "ববি সক্সার"দের আদর্শে পরিণত হন। তার প্রথম অ্যালবাম ''দ্য ভয়েস অব ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা'' ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে সিনাত্রার কর্মজীবনে বিরতি দেখা যায় এবং তিনি [[লাস ভেগাস|লাস ভেগাসে]] চলে যান। সেখানে তিনি র্যাট প্যাকের হয়ে সুপরিচিত রেসিডেন্সি পরিবেশক হয়ে ওঠেন। ১৯৫৩ সালে ''[[ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি]]'' চলচ্চিত্র দিয়ে তার কর্মজীবনে আবার উত্থান শুরু হয় এবং তিনি তার এই কাজের জন্য [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার|শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার]] ও [[গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেতা - চলচ্চিত্র)|গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার]] লাভ করেন। এই দশকে তার প্রকাশিত ''ইন দ্য উই স্মল আওয়ার্স'' (১৯৫৫), ''সং ফর সুইংগিন লাভারস!'' (১৯৫৬), ''কাম ফ্লাই উইথ মি'' (১৯৫৮), ''অনলি দ্য লোনলি'' (১৯৫৮) ও ''নাইস "এন" ইজি'' (১৯৬০) অ্যালবামগুলো সমাদৃত হয়। |
||
সিনাত্রার চলচ্চিত্র কর্মজীবন খুবই সফল ছিল। ''ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি'' ছবি দিয়ে একাডেমি পুরস্কার জয়ের পর তিনি ''দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম'' (১৯৫৫)-এ অভিনয় করেন এবং ''দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট'' (১৯৬২)-এ তার কাজের জন্য সমাদৃত হন। তিনি সঙ্গীতধর্মী ''অন দ্য টাউন'' (১৯৪৯), ''গাইজ অ্যান্ড ডলস'' (১৯৫৫), ''হাই সোসাইটি'' (১৯৫৬) ও ''পাল জোই'' (১৯৫৭) ছবিতে কাজ করেন এবং শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। কর্মজীবনের শেষের দিকে তিনি কয়েকটি গোয়েন্দা চরিত্রে কাজ করেন, যার মধ্যে একটি হল ''টনি রোম'' (১৯৬৭)-এ নাম ভূমিকায় অভিনয়। সিনাত্রা ১৯৭১ সালে [[গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার]] লাভ করেন। টেলিভিশন পর্দায় ''দ্য ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা শো'' ১৯৫০ সালে শুরু হয় এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশক জুড়ে চলে। সিনাত্রা ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং [[হেনরি এস. ট্রুম্যান]], [[জন এফ. কেনেডি]] ও [[রোনাল্ড রিগান|রোনাল্ড রিগানের]] জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালান। |
সিনাত্রার চলচ্চিত্র কর্মজীবন খুবই সফল ছিল। ''ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি'' ছবি দিয়ে একাডেমি পুরস্কার জয়ের পর তিনি ''দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম'' (১৯৫৫)-এ অভিনয় করেন এবং ''দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট'' (১৯৬২)-এ তার কাজের জন্য সমাদৃত হন। তিনি সঙ্গীতধর্মী ''অন দ্য টাউন'' (১৯৪৯), ''গাইজ অ্যান্ড ডলস'' (১৯৫৫), ''হাই সোসাইটি'' (১৯৫৬) ও ''পাল জোই'' (১৯৫৭) ছবিতে কাজ করেন এবং শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। কর্মজীবনের শেষের দিকে তিনি কয়েকটি গোয়েন্দা চরিত্রে কাজ করেন, যার মধ্যে একটি হল ''টনি রোম'' (১৯৬৭)-এ নাম ভূমিকায় অভিনয়। সিনাত্রা ১৯৭১ সালে [[গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার]] লাভ করেন। টেলিভিশন পর্দায় ''দ্য ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা শো'' ১৯৫০ সালে শুরু হয় এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশক জুড়ে চলে। সিনাত্রা ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং [[হেনরি এস. ট্রুম্যান]], [[জন এফ. কেনেডি]] ও [[রোনাল্ড রিগান|রোনাল্ড রিগানের]] জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালান। |
||
১৮:১৫, ১৪ মে ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা | |
|---|---|
Frank Sinatra | |
 পাল জোই (১৯৫৭)-এ সিনাত্রা | |
| জন্ম | ফ্রান্সিস আলবার্ট সিনাত্রা ১২ ডিসেম্বর ১৯১৫ |
| মৃত্যু | ১৪ মে ১৯৯৮ (বয়স ৮২) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
| জাতীয়তা | মার্কিন |
| দাম্পত্য সঙ্গী | ন্যান্সি বারবোতা (বি. ১৯৩৯; বিচ্ছেদ. ১৯৫১) আভা গার্ডনার (বি. ১৯৫১; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭) মিয়া ফ্যারো (বি. ১৯৬৬; বিচ্ছেদ. ১৯৬৮) বারবারা মার্ক্স (বি. ১৯৭৬) |
| সন্তান | ন্যান্সি সিনাত্রা ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা জুনিয়র টিনা সিনাত্রা |
ফ্রান্সিস আলবার্ট সিনাত্রা (ইংরেজি: Francis Albert Sinatra; ১২ই ডিসেম্বর ১৯১৫ - ১৪ই মে ১৯৯৮) ছিলেন একজন মার্কিন গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তিনি সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত সঙ্গীতশিল্পীদের একজন, বিশ্বব্যাপী তার ১৫০ মিলিয়নের অধিক রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।[২] নিউ জার্সির হোবোকনে জন্ম নেওয়া ইতালীয় বংশোদ্ভূত সিনাত্রা সুইং যুগে হ্যারি জেমস ও টমি ডার্সির সাথে তার সঙ্গীত কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তিনি একক শিল্পী হিসেবে সফলতা লাভ করেন এবং "ববি সক্সার"দের আদর্শে পরিণত হন। তার প্রথম অ্যালবাম দ্য ভয়েস অব ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে সিনাত্রার কর্মজীবনে বিরতি দেখা যায় এবং তিনি লাস ভেগাসে চলে যান। সেখানে তিনি র্যাট প্যাকের হয়ে সুপরিচিত রেসিডেন্সি পরিবেশক হয়ে ওঠেন। ১৯৫৩ সালে ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি চলচ্চিত্র দিয়ে তার কর্মজীবনে আবার উত্থান শুরু হয় এবং তিনি তার এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। এই দশকে তার প্রকাশিত ইন দ্য উই স্মল আওয়ার্স (১৯৫৫), সং ফর সুইংগিন লাভারস! (১৯৫৬), কাম ফ্লাই উইথ মি (১৯৫৮), অনলি দ্য লোনলি (১৯৫৮) ও নাইস "এন" ইজি (১৯৬০) অ্যালবামগুলো সমাদৃত হয়।
সিনাত্রার চলচ্চিত্র কর্মজীবন খুবই সফল ছিল। ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি ছবি দিয়ে একাডেমি পুরস্কার জয়ের পর তিনি দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম (১৯৫৫)-এ অভিনয় করেন এবং দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট (১৯৬২)-এ তার কাজের জন্য সমাদৃত হন। তিনি সঙ্গীতধর্মী অন দ্য টাউন (১৯৪৯), গাইজ অ্যান্ড ডলস (১৯৫৫), হাই সোসাইটি (১৯৫৬) ও পাল জোই (১৯৫৭) ছবিতে কাজ করেন এবং শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। কর্মজীবনের শেষের দিকে তিনি কয়েকটি গোয়েন্দা চরিত্রে কাজ করেন, যার মধ্যে একটি হল টনি রোম (১৯৬৭)-এ নাম ভূমিকায় অভিনয়। সিনাত্রা ১৯৭১ সালে গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার লাভ করেন। টেলিভিশন পর্দায় দ্য ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা শো ১৯৫০ সালে শুরু হয় এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশক জুড়ে চলে। সিনাত্রা ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং হেনরি এস. ট্রুম্যান, জন এফ. কেনেডি ও রোনাল্ড রিগানের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালান।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Frank Sinatra obituary"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ মে ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৮।
- ↑ লিচ, রবিন (৮ জুন ২০১৫)। "Steve Wynn to celebrate 100th birthday of the late Frank Sinatra in Las Vegas"। লাস ভেগাস সান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- সিনাত্রা পরিবার ওয়েবসাইট
- এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা
- অলমুভিতে ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা
- অলমিউজিকে ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা (ইংরেজি)
| সাধারণ | |
|---|---|
| জাতীয় গ্রন্থাগার | |
| শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান | |
| জীবনীমূলক অভিধান | |
| অন্যান্য | |
- Articles with faulty RISM identifiers
- Pages with red-linked authority control categories
- ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা
- ১৯১৫-এ জন্ম
- ১৯৯৮-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন গায়ক
- ইতালীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- ডেজার্ট মেমোরিয়াল পার্কে সমাধিস্ত
- নিউ জার্সির অভিনেতা
- নিউ জার্সির গায়ক
- মার্কিন কণ্ঠ অভিনেতা
- মার্কিন পপ গায়ক
- মার্কিন জ্যাজ গায়ক
- মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা
- মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক
- মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক
- মার্কিন পুরুষ গীতিকার
- মার্কিন বেতার অভিনেতা
- মার্কিন মানবহিতৌষী
- মার্কিন রোমান ক্যাথলিক
- সিসিলীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেতা - সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেতা - চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার বিজয়ী
- গ্র্যামি আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রাপক
- কেনেডি সেন্টার সম্মাননা প্রাপক
- পিবডি পুরস্কার বিজয়ী
- স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রাপক