ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ সম্প্রসারণ, সংশোধন |
অ সংশোধন |
||
৩ নং লাইন: | ৩ নং লাইন: | ||
name = '''ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ ''' |
name = '''ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ ''' |
||
| |
| |
||
established = |
established = ১৯৭৩ |
||
| |
| |
||
type = স্নাতক মহাবিদ্যালয় |
type = স্নাতক মহাবিদ্যালয় |
১৫:৫৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ধরন | স্নাতক মহাবিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৭৩ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীন |
অধিভুক্তি | কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় |
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বেতাই ড. বি. আর. আম্বেদকর কলেজ নদীয়া জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম বেতাই এ অবস্থিত। এই এলাকায় পূর্বে কোন কলেজ না থাকায় পঠন পাঠনে চরম অসুবিধা হত, এই সমস্যা দূর করতে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মানুষদের উদ্যোগে এবং রাজ্য সরকারের সহায়তায় এই কলেজ গড়ে ওঠে। প্রথমে এখানে একাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়ানো হত, এখন শুধু মাত্র স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়ানো হয়। এছাড়াও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষার স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম ও পড়ানো হয়।[১]
স্থাপনা
স্থানীয় ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের অসুবিধার কথা ভেবে হারানচন্দ্র বিশ্বাস সহ এলাকার কয়েক জন শিক্ষানুরাগী মানুষ এই কলেজ স্থাপনের জন্য মনোনিবেশ করেন। তাঁরা চাঁদা তুলে এবং অনুদান সংগ্রহ করে ১৯৭৩ সালে এই কলেজ গড়ে তোলেন। বেতাই ও সংলগ্ন এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা তপশিলী জাতি, উপজাতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। এখানকার অধিবাসীদের বিরাট অংশ দেশভাগ ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধর পর আগত। বাসিন্দাদের উচ্চশিক্ষার্থে কোনো মহাবিদ্যালয় ছিলোনা। এই কলেজটি সেই অভাব পূর্ন করেছিল। যতদূর জানা যায় এই কলেজের প্রশাসনিক ভবনটি একটি কাছারি বাড়িতে গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে এলাকার মানুষের দানের জমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সহায়তায় কলেজ বিল্ডিং গড়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে কলেজ ভবনটি আয়তনে বর্ধিত ও সুন্দর হয়েছে। অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারান চন্দ্রের স্মৃতিতে এই কলেজে একটি ভবন রয়েছে।
পাঠ্যক্রম
এই কলেজে পূর্বে একাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়ানো হত। পরবর্তি সময়ে রাজ্য সরকার কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রম তুলে দেওয়ায় এখন শুধু মাত্র স্নাতক পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়। এই কলেজ থেকে পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শংশাপত্র দেওয়া হয়।
বিভাগ
আগে এই কলেজে শুধুমাত্র কলা বিভাগ পড়ানো হত। বর্তমানে এখানে কলা বিভাগের সাথে বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ ও পড়ানো হয়। এখানে অনার্স পাঠ্যক্রম এর সাথে পাশ কোর্সের ও পঠন পাঠন হয়।
অনার্স বিষয় গুলি হল- ১.বাংলা ২.ইংরেজী ৩. ইতিহাস ৪.ভূগোল ৫.রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৬.দর্শণ ৭. গণিত
খেলাধুলায় কৃতিত্ব
এই কলেজ খেলাধুলায় যথেষ্ট পারদর্শিতার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। আন্ত-বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়ায় ভালো ফলাফল এর নজির রয়েছে।
অনুষ্ঠান
এই কলেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিভিন্ন মনীষিদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনের পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে পালিত হয়। এই কলেজে বার্ষিক নবীন বরণ অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয়তার সাথে পালিত হয়ে আসছে।
এছাড়া এই কলেজ আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় যুব সংসদে অংশগ্রহণ করে থাকে।
বিবিধ
এই কলেজে আগে প্রতি বছর ছাত্রসংসদের নির্বাচন হত। বর্তমানে রাজ্য সরকার সাময়িক সময় নির্বাচন বন্ধ রেখেছেন। এই কলেজের অন্যতম ছাত্র তাপস সাহা সর্বপ্রথম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হন বর্তমানে তিনি পলাশীপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী একজন বিধানসভা সদস্য[২]।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Affiliated College of University of Kalyani"।
- ↑ "বিধানসভা নির্বাচন ২০১৬: জিতলেন যাঁরা"। সংবাদ প্রতিদিন। ১৯ মে,২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫.০১.২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)